শিরোনাম | বিবিএ লাইফ |
---|
ভার্সিটিতে এসে একটি বিষয় খুব বেশি লক্ষ্য করেছি, সেটি হচ্ছে জুনিয়ররা তাদের ফাস্ট ইয়ার ও সেকেন্ড ইয়ার অবহেলায় কাটিয়ে দেয়। তাদের মধ্যে এক ধরনের উদাস উদাস ভাব দেখা যায়। ধীরে ধীরে সিরিয়াস হলেও ভার্সিটি লাইফের অর্ধেক মূল্যবান সময় নষ্ট করার পর তারা প্রচণ্ড হতাশায় ভুগে ।
এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাটা এমন যে, খুব কম মানুষই নিজের পছন্দের সাবজেক্টে পড়াশোনা করার সুযোগ পায়। তাকে হয়তো বাবা-মায়ের পছন্দের সাবজেক্টে পড়তে হয় অথবা যে সাবজেক্টে চান্স পেয়েছে সেটাতেই পড়তে হয়।
ফলাফল হচ্ছে কিছু মানুষ হতাশায় মুক্তির দিন গুনে। কেউ আবার প্রথম দিন থেকেই চাকরির প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। কেউ কেউ বুঝতেই পারে না, তার কি করা উচিত। অর্থাৎ বিভিন্ন কারণে তারা মূল্যবান সময় নষ্ট করে।
নিজের জীবন থেকেও এই বিষয়গুলো প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে আমার কোনো মেন্টর ছিলো না। কঠিন কঠিন ইংরেজি বই, ইংরেজিতে স্যারদের লেকচার। সবমিলিয়ে আমি স্ট্রাগল করছিলাম। বলতে গেলে ফার্স্ট ইয়ার এবং সেকেন্ড ইয়ারের প্রথম অংশের সময়টুকু খুব বেশি একটা কাজে লাগাতে পারি নি।
আলহামুলিল্লাহ। পরবর্তীতে মেন্টর হিসেবে অসাধারণ কিছু মানুষকে পেয়েছিলাম/পেয়েছি। তাদের পরামর্শ আর নিজের চেষ্টায় কিছুটা হলেও নিজেকে এক্সপ্লোর করতে পেরেছি। নিজের প্যাশনের জায়গা খুঁজে পেয়েিেছ।
নিজের জায়গা থেকে সবসময়ই মনে হয়েছে ফার্স্ট ইয়ার ও সেকেন্ড ইয়ারে পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা, আমার মতো মেন্টরশিপ কিংবা প্রোপার গাইডলাইনসের অভাবে তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ের একটি অংশ নষ্ট করে। যা পরবর্তীকালে তাদের ভোগান্তির কারণ হয় ।
সে চিন্তা থেকেই নিজের সব ব্যর্থতা, অসাফল্য, অভিজ্ঞতা, অর্জন আর সাফল্যকে একত্রিত করে কোমলমতি ফার্স্ট ইয়ার/সেকেন্ড ইয়ারের বিবিএ পড়ুয়া ভাই-বোনদের জন্য নির্দেশনামূলক এই বই লেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। দীর্ঘ দিনের পরিশ্রমের পর তা সফলতা পেতে যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ।
Reviews
There are no reviews yet.