শিরোনাম | রক্তশালুক |
---|
উপর্যুপরি দুর্ভাবনার দিনগুলোও, প্রতিটি দিনের শেষে কেটে যায় ঠিক৷ যাবতীয় অস্পষ্টতা ক্রমশ সয়ে যায় বিনিদ্র চোখে৷ সেই কবেকার একটা চড়ুই পাখি, অতীতের ঘুলঘুলিতে ফিরে ফিরে আসে। হারানো সময় এবং হারিয়ে যাওয়া মানুষের খোঁজ নেয় সে৷ তারপর, ফিরে যায় আবার৷ বিস্মৃত বালিকার বিনুনিতে জড়িয়ে থাকা মায়া, কুয়াশা হয়ে মিশে থাকে বৃদ্ধের ফেলে আসা সুদীর্ঘ পথে৷ এই জীবনের যা কিছু নামহীন, অমোঘ এক নৈঃশব্দ্যের সঙ্গে বন্ধু পাতায় তারা৷ যে যাকে খোঁজে, একদিন সে তাকে খুঁজে পায় নিজেরই ভিতরে… প্রত্যেকটা গল্পের মধ্যে সত্যিই একটা রেলপথ শুয়ে থাকে। সোজা সমান্তরাল নয়, কিছুটা আঁকাবাঁকা একটা রেলপথ। যা ক্রমেই শান্ত ঘুমন্ত নির্জন পাড়াগাঁ থেকে প্রিয়মুখগুলোকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে চায়। ঝমঝম ঝমঝম চাকার শব্দে গতির আনন্দে ছিন্ন করে দিতে চায় সরল নিস্তরঙ্গ শিশুকাল, ভাঙা ডানা চড়ুইয়ের গল্প, বিকেলের মটরশুঁটি ক্ষেতে চড়ুইভাতি। ভয়ের ভিতর জমা হচ্ছে অসংখ্য শব্দ। বলতে না পারা কথা। তারা ভেসে বেড়াচ্ছে জলস্তরে। নিজের মতো। একা, একা। স এর পাশে ম্প এসে পড়লেও, র্ক বসার আগেই কেউ যেন এগিয়ে দিচ্ছে ঢেউ। আবার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে সমস্ত দৃশ্য। গাছ থেকে একটা পাতা আচমকাই খসে পড়ছে জলে ! ঢেউ বাড়ে ঢেউ ভাঙে… আর ফেনার আঠায় মানুষ। মানুষ তো আসলে দিগন্তের মতো… আকাশ ছুঁতে চায়। ভাঙা ঢেউ সম্পর্কের দিকচক্রবাল চিনিয়ে দেয়… জীবনের পথের পাশে জুটে যাওয়া মানুষ, অভিজ্ঞতা, দৃশ্যাবলী আর ভাবনাই এই বইয়ের উপাদান বলা যেতে পারে। সম্ভাব্য পাঠক, আপনাকে অভিবাদন!
Reviews
There are no reviews yet.