শিরোনাম | মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক অবদান: পশ্চিমবঙ্গ ও সীমান্তবর্তী রাজ্যসমূহ |
---|
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানিরা গণহত্যা শুরু করলে বাংলাদেশ থেকে ভীতসন্ত্রস্ত মানুষজন দেশ ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও মেঘালয়ে। শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্ত অতিক্রম করছিলেন। সীমান্তসংলগ্ন রাজ্যগুলোর শিল্পী-লেখক-বুদ্ধিজীবীরা সর্বান্তকরণে বাংলাদেশের নিরাশ্রয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁরা সভা-সমাবেশ, বক্তৃতা-বিবৃতি ও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেছেন ও অর্থ তুলে সহায়তা দিয়েছেন। সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকসেবী, সাংবাদিকেরা বাংলাদেশের শরণার্থী ও সংস্কৃতিকর্মীদের থাকার জায়গা করে দিয়েছেন, অনেককে নিজেদের বাসায় থাকতে দিয়েছেন। ভারতের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম ও আকাশবাণী এক বড় ভূমিকা পালন করেছে। যুদ্ধের সব কটি দিন সংবাদপত্রের একটি বড় অংশ নিবেদিত ছিল মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন, সম্পাদকীয়তে। এসব খবর সাধারণ বাঙালিদের সব সময় উজ্জীবিত করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সহায়ক সমিতির সদস্য ও বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে জনমত সৃষ্টিতে সহায়তা করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমিতি সমাবেশ, বিচিত্রানুষ্ঠান হয়েছে শরণার্থীদের সহায়তার জন্য, এসব তথ্য এখন হারিয়ে গেছে। লেখক ইতিহাসের নির্মোহ দৃষ্টিতে সেসব তথ্য তুলে ধরেছেন এ বইয়ে।
Reviews
There are no reviews yet.