শিরোনাম | যেকোনো দরজা |
---|
বৃষ্টির তির এসে দুজনকে খুব করে ভিজিয়ে দিয়ে গেল। বলতে গিয়ে কথা খুঁজে না পেয়ে জামাল থামল। কিন্তু প্রশ্নটা স্পষ্ট বুঝতে পারল সালমা। কী জবাব দেবে সে? জামালকে যখন নিজের বাসায় নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখন একমুহূর্তের জন্য সালমা ভুলে গিয়েছিল তার পরিচয়—অতীত, বর্তমান। ঝাঁপিয়ে পড়ল যেন নিষ্ঠুর সত্যটা।
শিকড়হীন যুবক জামাল। ভাগ্যান্বেষণে রেঙ্গুন থেকে নানা পথ ঘুরে আসে ষাটের দশকের ঢাকায়। এখানে এসে আচমকা তার সঙ্গে পরিচয় হয় সালমা নামের এক তরুণীর। পরিচয়ের প্রথম দিনই সালমা তাকে নিয়ে যেতে চায় নিজের ডেরায়। সেদিন বৃষ্টিতে ভিজে সালমার গা থেকে অস্পষ্ট এক সৌরভ যেন মৌতাত তোলে। তার পাশে বসে অকারণে হু হু করতে থাকে জামালের বুক। এরপর একা ঘরে সালমার জন্য কি আকুল হয়ে ওঠে জামালের মন? সালমার সঙ্গে খালেদের রয়েছে নামহীন এক সম্পর্ক। এর নাম কি প্রেম? প্রেমই যদি হবে, তবে দীর্ঘদিন একত্রে বসবাস করলেও সালমাকে বিয়ে করতে অনীহা কেন খালেদের? সালাউদ্দিন নামে যে ব্যবসায়ীর লেখালেখি- সংক্রান্ত কাজ করার চাকরি পায় জামাল, সেই ভদ্রলোকের ভাবনাচিন্তা খুব অদ্ভুত। মানুষের অহংবোধকে নষ্ট করে দিতে চান তিনি। কেন? সব জিজ্ঞাসার অনবদ্য জবাব রয়েছে সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস যেকোনো দরজায়। ৫৯ বছর পর পাওয়া এই উপাখ্যানের পরতে পরতে রয়েছে কাহিনি ও কাব্যের মায়া, আছে সব্যসাচী লেখকের অপ্রথাবদ্ধ গদ্যের মাতাল আমন্ত্রণ। যেকোনো দরজার অভিনব কাহিনি আপনাকে ভাবাবে। পাশাপাশি করাঘাত করবে আপনার মনের দরজায়।
Reviews
There are no reviews yet.