শিরোনাম | তোমার নামে সন্ধ্যা নামে |
---|---|
ISBN | 9789845027342 |
নদী বললো, ‘সবাই ভাবে সম্পর্কে সব ক্ষেত্রেই দুজনের সমান কন্ট্রিবিউশান থাকতে হবে। আমি যেমন তার জন্য এটা করেছি, ওটা করেছি, সে কেন করবে না? সবকিছু সমান সমান হতে হবে। সবাই ভাবে, এতেই বুঝি সম্পর্কটা ভালো থাকে। সমান-সমানে। কিন্তু বিষয়টা তা নয়। দুজনের পক্ষে কখনোই সবকিছুতে সমান কন্ট্রিবিউশান সম্ভব নয়। হয়তো কোথাও একজন ষাট ভাগ করলো, অন্যজন চল্লিশ। আবার অন্য কোথাও হয়তো একজন মাত্র দশ, অন্যজন নব্বুই। কিন্তু এই দুজনেরটা মিলেই কিন্তু শতভাগ সম্পর্ক। এখানে ফিফটি-ফিফটি কোনো কিছুই হয় না। মানুষ তো আর প্রোগ্রামড কোনো সফটওয়ার বা যন্ত্র নয়। ফলে একদম একই জায়গায় দুজনের সমান সক্ষমতা কিংবা সহনশীলতাও হবে না, আর এটাই স্বাভাবিক। তাই না?’
নদী থামলেও সজল কথা বললো না। এই নদীকে যেন সে নতুন করে দেখছে। শান্ত, গভীর।
নদী বললো, ‘আমি আমার সাধ্য মতো সবটুকু করবো। তুমি কেবল যেখানে আমার কমতি থাকবে, অক্ষমতা থাকবে, সেটুকু তোমার সক্ষমতায় পূরণ করে নিও?’
এমন মায়াময় ভঙ্গিতে কথাটা বললো নদী যে সজল আলতো হাতে তার গাল ছুঁয়ে দিলো। তারপর বললো, ‘তুমি আজ কেমন অন্যরকম।’
‘অন্যরকম কেমন?’
‘নদীর মতোন।’
‘আমি তো নদীই।’
‘উহু। সত্যিকারের নদী।’
‘আমি কি তবে মিথ্যেকারের নদী?’ নদী গাল ফোলালো।
‘আহ, তা না। নদী যেমন শান্ত, স্নিগ্ধ সুন্দর এবং গভীর। আজকের তুমি তেমন।’
নদীর হঠাৎ মন ভালো হয়ে গেলো। সজল মাঝে মাঝে এতো সুন্দর করে কথা বলে! তখন সকলের চোখ এড়িয়ে টুক করে তাকে চুমু খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। এখনো করছে। কিন্তু তারা এখন দাঁড়িয়ে আছে শাহবাগের সড়ক দ্বিপে। চারপাশে অজস্র মানুষ।
সন্ধ্যার অফিস ফেরত মানুষের ভিড়। ব্যস্ত শহর। এখানে সে সজলকে চুমু খাবে কী করে?
নদীর আচমকা মনে হলো, যখন তখন চুমু খাওয়ার জন্য হলেও সজলকে তার দ্রুত বিয়ে করে ফেলতে হবে।
Reviews
There are no reviews yet.