শিরোনাম | দারিদ্রের অর্থনীতি: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ |
---|---|
ISBN | 9789849436409 |
দারিদ্র্য জাদুঘরে যাবে কি না, দারিদ্রে্যর প্রকৃতি ও উপসর্গের পরিবর্তন এবং দারিদ্র্য নিরসনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই বইয়ে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে দারিদ্র্য নিয়ে চারটি জনপ্রিয় বিতর্ক বিশেষভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বিতর্কগুলো হলো ড. ইউনূস ও ক্ষুদ্রঋণ, ফজলে হাসান আবেদ ও বেসরকারি সংস্থা, আখতার হামিদ খান ও কুমিল্লা মডেল এবং দারিদ্র্য নিরসনে ইসলামী ব্যাংকের ভূমিকা। সাধারণ পাঠকের জন্য সহজ ভাষায় অর্থনীতির জটিল প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করেছেন জনপ্রিয় অর্থনীতিবিদ আকবর আলি খান।
দারিদ্র্য নিয়ে সুসংবাদ রয়েছে, আবার দুঃসংবাদও রয়েছে। সুসংবাদ হলো ১৯৯০ সালে বিশ্বে ৫৫.১ শতাংশ মানুষ সহনীয় দারিদ্র্যরেখার নিচে ছিল; ২০১৫ সালে এই হার ২৬.৩ শতাংশে নেমে আসে। দুঃসংবাদ হলো ২০১৫ সালে পৃথিবীতে ১৯৩.৪ কোটি দরিদ্র ছিল। ১৯০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ১৬৫ কোটি; ১৮০০ সালে ছিল ১০০ কোটি। সম্পূর্ণ দারিদ্র্য নিরসন এখনো অনেক দূরে। যাঁরা আশাবাদী, তাঁদের প্রত্যাশা হলো বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য নিমূর্ল হয়ে যাবে; দারিদ্রে্যর নিদর্শন শুধু বেঁচে থাকবে জাদুঘরে। যাঁরা আশাবাদী নন, তাঁরা মনে করেন যে শুধু বর্তমান অর্জনের ভিত্তিতে দারিদ্র্য নিরসনের চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা যাবে না। দারিদ্র্য নিরসনকে অতীতের প্রেক্ষাপটে দেখতে হবে এবং ভবিষ্যতের দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখতে হবে। তাই এই বইয়ে দারিদ্রে্যর পরিমাপ ও সংজ্ঞা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। দারিদ্রে্যর সংজ্ঞার পরিবর্তনও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যারা ক্ষুধার্ত শুধু তারাই দরিদ্র নয়, আজকে যারা বেকার, তারাও গরিব। ধনবৈষম্যের ত্রিভুজের সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ মানুষও দরিদ্র। বইটি লেখা হয়েছে সাধারণ পাঠকের জন্য, দারিদ্র্য নিরসনের জন্য যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে দারিদ্র্য নিয়ে যাঁরা পড়ছেন, তাঁদের জন্য। ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ, ফজলে হাসান আবেদের বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, আখতার হামিদ খানের কুমিল্লা মডেল এবং দারিদ্র্য নিরসনে ইসলামী ব্যাংকের ভূমিকার মতো বিতর্কিত বিষয়গুলো বক্তানিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.